বিয়ে ভাবনা
লিখেছেন লিখেছেন আওণ রাহ'বার ২৮ আগস্ট, ২০১৬, ০৭:৪৪:০৯ সন্ধ্যা
বিয়ের ব্যাপারে প্রতিটা মানুষের মাঝে চিরন্তন এক আবেগ কাজ করে। পবিত্র এই সম্পর্কের মধ্য দিয়ে মানুষ জীবনের অর্থ খুঁজে পেতে চায়। মানুষ সুপ্তভাবে নিজ অজান্তেই তার অর্ধাঙ্গিনীকে কল্পনা করে জীবনকে রাঙায়। জীবনের প্রতিটা পরতে পরতে সে জীবন সাথীকে নিয়ে ভাবে, অনুভব করে, কল্পনা করে। আসলে আমিও এর ব্যতিক্রম নই। আরে আমি তো এই পবিত্র সম্পর্কের মধ্য দিয়ে আমার মহান রবের সান্নিধ্য পেতে চাই। হাদীসের ভাষায় 'বিবাহ ইমানের অর্ধেক'। আমিও চাই এই পবিত্রতার আবেশে নিজেকে পবিত্র করে তুলতে। আমার চরিত্রের উত্কর্ষ সাধন করতে। আমার ইমানকে পূর্ণ করতে।
@
আমিও আমার সহধর্মিণীকে নিয়ে ভাবি। ওকে নিয়ে কল্পনা করি। কল্পনাতে ওর হাতের চা পান করি। ওর সাথে বই পড়ি। ওকে নিয়ে আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে সাজাই। কল্পনায় ওর হাতের স্পর্শে আমার মন তা ধিন-ধিন করে নেচে ওঠে। আমি নিজেকে ওর জন্য যোগ্য করতে চাচ্ছি। আমার জীবনকে পবিত্রতার পরশে বুলিয়ে দিতে চাচ্ছি। এই একজনার জন্যে কত অশ্রু ঝরছে আমার দু'চোখ হতে।
ফররুখের ভাষায়:
'দ্বিধা-দ্বন্দ্বের আকাশ আছে পৃথিবীতে
চিরন্তন শুধু সত্যের অন্বেষা।'
আমি সত্যকে পেতে চাই। আবার অনেক দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যেও ভুগছি। একবার মনে হয় বিয়েটা হচ্ছে ছেলেখেলা। আবার মনে হয় এটা হচ্ছে নিজের উপর অর্পিত বিরাট এক দায়িত্ব। একবার হৃদয়ে আনন্দের ঢেউ খেলে। আবার মনে হয়, যে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে যাচ্ছি তা যথাযথভাবে পালন করতে পারবো তো? এরকম একটা দো'টানার মধ্যে চলছি। আমার চিন্তায় এটা সবসময় আসে, যে মেয়েটা তার আপন ঘর, বাবা-মা, ভাই-বোন, স্বজন ছেড়ে আমার কাছে আসবে- তার মূল্যায়ন করার যোগ্যতা আমার তৈরি হয়েছে কী। আমি এ দায়িত্ব পালনের যোগ্য? সে তাঁর সম্পূর্ণ জীবনটাকে আমার হাতে সপে দিচ্ছে, আমি সেটার মূল্য দিতে পারবো? অচিন পরিবেশে সে কেমন মানিয়ে নেবে। তাঁর হৃদয়টা কেমন হবে। সে সংকীর্ণতা মুক্ত হবে কী। আমি তাকে কিভাবে সাহায্য করবো। সে আমাকে কেমন ভাববে। আমি কি তার হৃদয়রাজ্য জয় করতে পারবো! এরকম কতশত প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে মনে। কিছু আশা, কিছু ভয়, কিছু চাওয়া-পাওয়ার মাঝে জিন্দেগী গুজরান হচ্ছে। মনটা এই ভালো, এই খারাপ। কোন ঠিক-ঠিকানা নেই। মাঝে-মাঝে মনে হয় আমি উন্মাদ হয়ে গেছি। চিন্তায় মাথা ভার হয়ে যাচ্ছে। মনে হয় চিৎকার করে হাউমাউ করে কাঁদি। সে এক অবস্থা হৃদয়ের। আবার মনে হয় চিরতরে হাঁদু ভাই হয়ে যাই।:
কিছুই তো ভালো লাগে না বন্ধু। কী যে করি হায়।
- - -
বলুন তো কী করতে পারি। আমিও তাই ধরনা দেই যারা অভিজ্ঞ তাঁদের কাছে। হয়তো তাঁদের অভিজ্ঞতার গল্প আমার হৃদয়ের দো'টানার আগুনকে নেভাবে।
এক অভিজ্ঞ ব্যক্তি বলেছেন:
-'এ বসন্ত জাগ্রত নগরীর একদিন আমরাও ছিলাম বাসিন্দা!
তোমাদের অবস্থা আমাদের ভালোই জানা আছে। বোঝো না! আমরাও একদিন এ-পথ মাড়িয়েছি!
এ পথ আমাদের পায়ে-পায়ে চেনা!
এ উপত্যকার প্রতিটি পথ ও বাঁক আমাদের নখদর্পণে!'
তাঁরা আমাকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেন। জীবনে বন্ধুরপথ সম্পর্কে অবহিত করেন। কীভাবে জীবন-তরীর মাঝি হতে হবে তাও শিখিয়ে দেন। কিন্তু বিশ্বাষ করুন দো'টানার আগুন তো নেভে না। বারবার মনে হয় আমার স্বপ্নের মালিকাকে আমি জয় করতে পারবো তো! আমার হৃদয়ের শতভাগ উজাড় করে তাকে ভালো বাসতে পারবো তো! প্রতিদিন কী নতুন করে বলতে পারবো সেই কথা! যা কখনও কোন মেয়েকে বলি নি।
আমি তোমায় ভালোবাসি...................
বিষয়: বিবিধ
১২৯৯ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিয়ের পাত্র-পাত্রী নির্বাচনের ইসলামিক মূলনীতি:
মুসাদ্দাদ (রহঃ) ........... আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,(সাধারণত) নারীদের চারটি গুণের অধিকারী দেখে বিবাহ করা হয় ( মানুষ যা করে)। ১.তার সৌন্দর্য ২.তার ধন-সম্পদ,৩. তার বংশমর্যাদা ৪.তার ধর্ম। তোমরা (মুমিন পুরুষগণ)দ্বীনদার নারীকে বিবাহ করে বিজয়ী হও,অন্যথায় তোমাদের উভয় হাত অবশ্যই ধুলায় ধূসরিত হবে।(অন্য হাদিস অনুযায়ী তোমরা লাঞ্জিত ও অপমানিত ও ধ্বংস হবে।)। (সহীহুল বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাউদ ২০৪৭, আহমাদ ৯২৩৭ দারেমী ২১৭০, ইরওয়াহ ১৭৮৩, গায়াতুল মারাম ২২, সহীহ আবু দাউদ ১৮৮৬
সুনানে আবু দাউদ, অধ্যায়: ৬/বিবাহ, হাদিস নং: ২০৪৩, পাবলিশার: ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ)
আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ গোটা দুনিয়াই হলো সম্পদ। আর দুনিয়ার মধ্যে পুণ্যবতী স্ত্রীলোকের চেয়ে অধিক উত্তম কোন সম্পদ নেই। [সুনানে ইবনে মাজাহ, অধ্যায়ঃ ৯/ বিবাহ, পরিচ্ছদঃ ৯/৫. সর্বোত্তম মহিলা, হাদিস নং: ১/১৮৫৫, পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস)
সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সোনা-রূপা (মূল্যবান সম্পদ) পুঞ্জীভূত করে রাখার সমালোচনায় কুরআনের আয়াত নাযিল হলে সাহাবায়ে কিরামগণ বলেন, তাহলে আমরা কোন সম্পদ ধরে রাখবো? উমার (রাঃ) বলেন, আমি তা আল্লাহর রাসূল হতে জেনে তোমাদের জানিয়ে দিব। অতঃপর তিনি তার উটকে দ্রুত হাঁকিয়ে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাক্ষাত পেয়ে গেলেন। আমিও তার পিছনে পিছনে গেলাম। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমরা কোন সম্পদ সঞ্চয় করবো? নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের প্রত্যেকেই যেন অর্জন করে কৃতজ্ঞ অন্তর, যিকিরকারী জিহবা এবং আখেরাতের কাজে তাকে সহায়তাকারী ঈমানদার স্ত্রী। [সুনানে ইবনে মাজাহ, অধ্যায়ঃ ৯/ বিবাহ, পরিচ্ছদঃ ৯/৫. সর্বোত্তম মহিলা। হাদিস নং: ২/১৮৫৬, পাবলিশার: বাংলা হাদিস।]
বিবাহের বর ও কনের কুফু (সমতা) নির্ধারণ:
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ভবিষ্যত বংশধরদের স্বার্থে উত্তম মহিলা গ্রহণ করো এবং সমতা (কুফু) বিবচেনায় বিবাহ করো, আর বিবাহ দিতেও সমতার প্রতি লক্ষ্য রাখো। [ সুনানে ইবনে মাজাহ, অধ্যায়: ৯/বিবাহ, হাদিস নং: ২/১৯৬৮, পাবলিশার: বাংলা হাদিস]
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি তোমাদের নিকট এমন কোন ব্যক্তি (পাত্র) বিবাহের প্রস্তাব দেয়, যার চরিত্র ও দীনদারী সম্পর্কে তোমরা সন্তুষ্ট, তার সাথে তোমরা তোমাদের মেয়েদের বিবাহ দাও। তোমরা যদি তা না করো (মুমিন পাত্রদের প্রত্যাখ্যান করে বেদীন পাত্রদের দুনিয়াবী যোগ্যতা দেখে মুগ্ধ হয়ে তাদের সাথে তোমাদের মেয়েদের বিয়ে দাও) তাহলে পৃথিবীতে বিপর্যয় ও ব্যাপক বিশৃংখলা ছড়িয়ে পড়বে। [সুনানে ইবনে মাজাহ, অধ্যায়ঃ ৯/ বিবাহ, হাদিস নং: ১/১৯৬৭, পাবলিশার: বাংলা হাদিস।]
বর্ধিত অংশ: সাহাবীরা প্রশ্ন করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ্! যদি তার মাঝে কুফূ (সমতা) -এর দিক থেকে কিছু ক্রটি থাকে? তিনি বললেন, যখন তোমাদের কাছে এমন কারো প্রস্তাব আসে যার দ্বীন ও চরিত্র তোমাদের পছন্দ হয় তাকে বিয়ে দিয়ে দিবে। এই কথা তিনি তিনবার বললেন। [ তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১০৮৫, আল মাদানী প্রকাশনী]
আল্লাহর বাণী: যিনাকারী পুরুষ কেবল যিনাকারিণী স্ত্রীলোককে বিবাহ করবে, মুনাফিক, মুশরিক, কাফির- মুমিনের জন্য হারাম যদিও তাদের সৌন্দর্য আকষর্ণীয় হয়।
ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ (রহঃ) ............ আমর ইবন শ‘আয়ব (রহঃ) তাঁর পিতা হতে, তিনি তাঁর দাদা আবদুল্লাহ্ ইবন আমর ইবনুল আস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, মারসাদ ইবন মারসাদ আল্-গানাবী মক্কাতে অন্তরীণ অবস্থায় ছিলেন। আর সে সময় মক্কাতে আনাক্ নাম্মী জনৈক যিনাকারীণী ছিল, যে (জাহিলিয়াতের যুগে) তার বান্ধবী ছিল। তিনি বলেন, তখন আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে হাজির হয়ে আরয করি, হে আল্লাহ্র রাসুল ! আমি কি আনাক- কে বিবাহ করব? তিনি (রাবী) বলেন, তিনি চুপ করে থাকাকালে এই আয়াত নাযিল হয়ঃ ‘‘ যিনাকারিণী স্ত্রীলোক, তাকে কোন যিনাকার পুরুষ বা মুশরিক ব্যতীত আর কেউই বিবাহ করবে না। ’’ তখন তিনি আমাকে ডেকে আমার সম্মুখে তা তিলাওয়াত করেন। অতঃপর বলেন, তুমি তাকে বিবাহ করো না। (পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন, গ্রন্থঃ সুনানে আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ ৬/ বিবাহ, হাদিস নং: ২০৪৭,পরিচ্ছদঃ ৯৯. আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ যিনাকার পুরূষ কেবল যিনাকারিণী স্ত্রীলোককে বিবাহ করবে। )
মুসাদ্দা (রহঃ) .......... আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যিনাকার পুরুষ, যিনাকারিণী স্ত্রীলোক ব্যতীত অন্যকে বিবাহ করবে না।(সুনানে আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ ৬/ বিবাহ, পরিচ্ছদঃ ৯৯. আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ যিনাকার পুরূষ কেবল যিনাকারিণী স্ত্রীলোককে বিবাহ করবে, হাদিস নং:২০৪৮, পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
নারীদের জোড় করে দেয়া বিয়ে বাতিল।
আল্ কা‘নাবী ........... খানসাআ বিনত খিদাম আল আনসারীয়্যাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা (খিদাম) আমাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে এমন সময় বিবাহ প্রদান করেন, যখন আমি বিধবা হলাম। কিন্তু আমি ঐ বিবাহ অপছন্দ করলাম। অতঃপর আমি রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে আমার পিতার বিরূদ্ধে অভিযোগ পেশ করলাম। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তার পিতাকে ডেকে ঘটনার সত্যতা জানার পর) আমার বিবাহ বাতিল ঘোষণা করেন। (সুনানে আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ ৬/ বিবাহ, হাদিস নং ২০৯৭, পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
বিয়ের ওলী বা অভিভাবক ছাড়া বিয়ে হবেনা।
মুহাম্মদ ইবন কুদামা ............. আবূ মূসা (রাঃ) নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন যে, অভিভাবক ব্যতীত কোন বিবাহই হতে পারে না। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাদীসের সনদ হল, ইউনুস আবূ বুরদা থেকে এবং ইসরাঈল আবূ ইসহাক থেকে, তিনি আবূ বুরদা থেকে। (পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন, গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ৬/ বিবাহ , হাদিস নং: ২০৮১ )
ইবনু আবী উমার (রহঃ) .... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে কোন মহিলা তার অভিভাবকের অনুমতি ব্যতিরেকে বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল। যদি এরপর ( অভিভাবককে না জানিয়ে বিয়ের পর) স্বামী-তার সাথে সঙ্গম করে তবে স্ত্রী মোহরানার হকদার হবে। যেহেতু তার স্বামী তার লজ্জাস্থানকে হালাল মনে করে ভোগ করেছে। অভিভাবকেরা দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলে, (মুসলিম) শাসকই (সেই নারীর) অভিভাবক হবে, যার অভিভাবক নেই। [ ইরওয়া ১৮৪০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১০২, আল মাদানী প্রকাশনী] (পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সূনান তিরমিজী, অধ্যায়ঃ ১১/ বিবাহ, হাদিস নং: ১১০২)]
বৈধ অভিভাবক না থাকলে বা বিয়ের ব্যাপারে অভিভাবকেরা দ্বন্দ-সংঘাতে লিপ্ত হলে, বৈধ অভিভাবক হবেন মুসলিম শাসক যিনি তাকে বিয়ে দিতে পারেন যদিও সেই নারীর অভিভাবকেরা জীবিত থাকেন।
মুহাম্মদ ইবন ইয়াহ্ইয়া ................ আবু সুফিয়ান কণ্যা রামলা (উম্মে হাবীবা (রাঃ)) হতে বর্ণিত। তিনি ইবন জাহশের (উবায়দুল্লাহর) স্ত্রী ছিলেন। তিনি (হাবশাতে) মৃত্যুবরণ করেন এবং এই সময় হাবশাতে যারা হিজরত করেন, তিনি তাঁদের সাথে ছিলেন। তখন হাবশার বাদশাহ নাজ্জাশী (অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন) তাকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বিবাহ দেন। (যখন তার পিতা আবু সুফিয়ান জীবিত ছিলেন) [পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন, গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ ৬/ বিবাহ, হাদিস নং: ২০৮২)
মহিলাদের মাহর (মোহরানা)। আবূ সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর স্ত্রীদের মাহর কতো ছিলো? তিনি বলেন, তাঁর স্ত্রীদের মাহরের পরিমাণ ছিলো বার উকিয়া ও এক নাশ। তুমি কি জানো, নাশ কী? তাহলো অর্ধ উকিয়া। আর তাহলো পাঁচ শত দিরহামের সমান।
(পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস, গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ৯/ বিবাহ, হাদিস নং: ১/১৮৮৬)
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, মহিলাদের মাহরের ব্যাপারে তোমরা বাড়াবাড়ি করো না। কেননা তা যদি পার্থিব জীবনে সম্মান অথবা আল্লাহর কাছে তাক্ওয়ার প্রতীক হতো, তাহলে তোমাদের মধ্যে মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যাপারে অধিক যোগ্য ও অগ্রগণ্য ছিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রী ও কন্যাদের মাহর বারো উকিয়ার বেশি ধার্য করেননি। কখনও অধিক মাহর স্বামীর উপর বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর মনে শত্রুতা সৃষ্টি হয়, এমনকি সে বলতে থাকে, আমি তোমার জন্য পানির মশক বহনে বাধ্য হয়েছি অথবা তোমার জন্য ঘর্মাক্ত হয়ে পড়েছি। (রাবী বলেন), আমি একজন বেদুইন। অতএব আমি ‘‘আলাকাল কিরবা’’ বা ‘‘আলাকাল কিরবা’’-এর অর্থ কি তা জানি না। [{তিরমিযী ১১১৪, নাসায়ী ৩৩৪৯, আবূ দাউদ ২১০৬, ২৮৭, দারেমী ২২০০, মিশকাত ৩২০৪, সহীহ আবী দাউদ ১৮৩৪, ইরওয়াহ ১৯২৭। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।} {পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস, গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ,অধ্যায়ঃ ৯/ বিবাহ, হাদিস নং: ২/১৮৮৭]
দাওয়াত ইনশাআল্লাহ।
০ না পেয়েই যদি এতটা উতলা হয়ে যান , পেয়ে গেলে তো পূঁজা করা শুরু করে দেবেন !
এতটা ব্যাকবোনলেস হয়ে গেলে সারা জীবন কিপ বানিয়ে রাখবে ।
হাদীসের ভাষ্যগুলো পড়লে বড় ভয় লাগে। অকৃতজ্ঞ কেউ যাতে তকদীরে না আসে। আল্লাহ তুমি হেফাজত কর। আমীন।
তবে বিয়ের বিষয়ে অভিজ্ঞতা তিক্ত!!!
চমৎকার লিখা এবং অনুভূতি
দুআ রইলো ।
'দ্বিধা-দ্বন্দ্বের আকাশ আছে পৃথিবীতে
চিরন্তন শুধু সত্যের অন্বেষা।'
দারুণ সব চিন্তা। পড়তে পড়তে মনে হয়েছে এতো আমারই কথা। কল্পনায় তার হাতের চা ছাড়া আমি আরো কতো কিছু করি, বলা যাবে না। তবে সব শেষে আফসোস, তুমি কই?
কেমন?
ইশ্
ইস্!!
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
যত দ্রুত সম্ভব বিয়ে করে ফেলুন। ইন শা আল্লাহ বরকতে পূর্ণ হবেন। জাযাকাল্লাহ খাইর
না করে থাকলে বলব, দাম্পত্য জীবনে অনেক সমস্যা থাকে তবে বর-স্ত্রীর মধ্যকার প্রাপ্তিটার তৃপ্তি অন্য সবকিছুকে ছাপিয়ে যায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন